মোবাইল ফোন ব্যবহার, কম্পিউটার ঠিকভাবে ব্যবহার ইত্যাদি নানা বিষয়ে সর্বত্রই বহু ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। এ লেখায় রয়েছে তেমন কয়েকটি ভুল ধারণা বিষয়ে তথ্য।
১. সারা রাত চার্জে ব্যাটারি নষ্ট: অনেকেই মনে করে, মোবাইল ফোন সারা রাত চার্জে দিয়ে রাখলে তাতে ব্যাটারি নষ্ট হয়। ব্যাপরটি মোটেও ঠিক নয়। আসল কথা হলো, মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত চার্জ প্রতিরোধক ব্যবস্থা থাকে। একই বিষয় ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে এতে ব্যাটারি নষ্ট না হলেও চার্জারটি বিদ্যুৎ লাইনে সংযুক্ত থাকায় বিদ্যুৎ বিল কিছু বাড়তে পারে।
২. থার্ড পার্টি চার্জার বাদ: মোবাইল ফোন নির্মাতারা ফোনের সঙ্গে যে চার্জার দেয় তা ভিন্ন অন্য চার্জার ব্যবহার করতে নিষেধ করে। কিন্তু অন্য চার্জার ব্যবহার করলে যে ক্ষতি হয় তা কিন্তু নয়। চার্জার হারিয়ে গেলে বা সমস্যা হলে অনেকেই উচ্চমূল্যের চার্জার কিনতে চায় না। এ ক্ষেত্রে ইচ্ছা করলে অন্য চার্জারও ব্যবহার করা যায়। তবে দেখা উচিত চার্জারটি মানসম্মত ব্র্যান্ডের এবং সঠিক মডেলের কি না।
এটিও পড়ুনজোয়ার ভাটা কি এবং কেন হয়?
৩. গ্যাজেট বাইরে রাখায় ক্ষতি নেই: অনেকের ধারণা, প্রচণ্ড গরম, ঠাণ্ডা কিংবা আবহাওয়ার প্রভাবে মোবাইল ফোন কিংবা অনুরূপ যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি অতিরিক্ত গরমে লিথিয়াম ব্যাটারি বিস্ফোরিত হতে পারে। তাই সহনীয় তাপমাত্রায় গ্যাজেট রাখা উচিত। এ বিষয়ে ম্যানুয়ালেও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
৪. চার্জ দেওয়ার আগে ব্যাটারি চার্জশূন্য করা উচিত: অতীতে নিকেল ক্যাডমিয়াম ব্যাটারি ব্যবহৃত হতো, যেগুলোতে মেমোরি এফেক্ট' ছিল এবং সম্পূর্ণ চার্জ শেষ করা সেগুলোর জন্য ভালো। কিন্তু এখন মোবাইল ফোনে লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। সম্পূর্ণ চার্জ শেষ করা এবং পূর্ণ চার্জ করা এসব ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর। লিথিয়াম ব্যাটারিতে চার্জ ৪০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে রাখা সবচেয়ে ভালো।
এটিও পড়ুন ধানের খেত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
৫. রাতে কম্পিউটার শাট ডাউন: অতীতে যখন কম্পিউটার অত্যন্ত জটিল যন্ত্র হিসেবে পরিচিত ছিল তখন থেকে এ ধারণা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু এখন কম্পিউটারের যন্ত্রপাতি যথেষ্ট উন্নত হয়েছে এবং তা ঠাণ্ডা করার জন্য বন্ধ রাখার প্রয়োজন হয় না। এটা ঠিক যে কম্পিউটার বেশিক্ষণ চালালে বিদ্যুৎ বিল বাড়তে পারে কিন্তু তাতে যন্ত্রটি যে নষ্ট হয়ে যাবে তা নয়। রাতে প্রয়োজনে ভাইরাস স্ক্যান, তথ্য ব্যাকআপ, আপডেট ইত্যাদি করা সম্ভব।
৬. বেশি মানেই ভালো: কম্পিউটারে প্রসেসরের গতি, হার্ড ডিস্ক, মেমোরি ইত্যাদির জন্য নানা সংখ্যা রয়েছে। এ সংখ্যাগুলো বেশি হলেই যে তা ভালো কম্পিউটার, তা নয়। যেমন এক টেরাবাইট ধারণক্ষমতার সাধারণ হার্ড ডিস্কের তুলনায় ২৫৬ গিগাবাইট সলিড স্টেট হার্ড ডিস্ক বেশি গতিশীল ও নির্ভরযোগ্য। যদিও এক টেরাবাইটের তথ্য ধারণক্ষমতা বেশি, যা সবার প্রয়োজন হবে না।
৭. প্রাইভেট ব্রাউজিং: এখন বহু ব্রাউজারেই রয়েছে প্রাইভেট ব্রাউজিং মোড। এতে ব্রাউজিং করলে তার কোনো তথ্য সংরক্ষিত হবে না- এমনটাই ধারণা অনেক ব্যবহারকারীর। কিন্তু অনলাইনে গোপন কিছুর আশা করা নিতান্তই দুরাশা। বাস্তবে ইন্টারনেট সেবা সরবরাহকারীদের কাছে এ তথ্য থেকে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংগ্রহ করতে পারে।আশাকরি আপনাদের কথা গুলো আপনাদের উপকারে আসবে।
No comments:
আমাদের পোস্টগুলি ভালো লাগলে কমেন্ট করে আমাদের উৎসাহ দিন