বিডি টিপ্স টেকে আপনাদের স্বাগতম।স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি
নোট ৭ স্মার্টফোন নিয়ে কম কাণ্ড হলো না। বাজারে ছাড়ার পর বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে গ্রাহক পর্যন্ত সবার
কাছেই বেশ সমাদৃত হয়। এরপর আগুন ধরার ঘটনাগুলো সংবাদ হয়ে আসতে শুরু করে। নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। শেষে বাধ্য হয়েই উৎপাদন
বন্ধ করে সব নোট ৭ ফিরিয়ে নেয় স্যামসাং, ক্ষমাও চেয়েছে। নোট ৭-কাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ
ঘটনাগুলো তারিখ অনুযায়ী এখানে তুলে ধরা হলো।
নোট ৭ নিয়ে ঘটে যাওয়া যত সব কাণ্ড |
২ আগস্ট
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্যামসাং মোবাইলের
প্রেসিডেন্ট ডংজিং কোহ গ্যালাক্সি নোট ৭-এর ঘোষণা দেন।
১৯ আগস্ট
নোট ৭ প্রথম বাজারে আসে।
২৪ আগস্ট
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো গ্যালাক্সি
নোট ৭-এ আগুন ধরার খবর প্রকাশিত হয়।
২৯ আগস্ট
ইউটিউবার অ্যারিয়েল গনজালেস প্রথমবারের মতো
আগুনে পোড়া নোট ৭-এর ভিডিও আপলোড করেন।
২ সেপ্টেম্বর
ব্যাটারিতে খুঁত ধরা পড়লে বিশ্বব্যাপী বিক্রি
হওয়া ২৫ লাখ নোট ৭ ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় স্যামসাং।
৮ সেপ্টেম্বর
মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন প্রশাসন বিমানে
নোট ৭ স্মার্টফোন চালু বা চার্জ না করার পরামর্শ দেয়।
৯ সেপ্টেম্বর
মার্কিন ভোগ্যপণ্য নিরাপত্তা কমিশন নোট ৭
ব্যবহারে সতর্কতা জারি করে।
১২ সেপ্টেম্বর
পুনঃ পুনঃ সতর্কতা জারির ফলে এক ধাক্কায় শেয়ারবাজারে
থেকে ১ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার হারায় স্যামসাং।
২৯ সেপ্টেম্বর
স্যামসাং ঘোষণা দেয় নতুন ‘নিরাপদ’ ব্যাটারির প্রায় ১০ লাখ নোট ৭ এখন মানুষ ব্যবহার
করছে।
৬ অক্টোবর
যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিমানে নোট ৭ থেকে ধোঁয়া
বের হতে শুরু করলে প্লেন থেকে সবাইকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
১০ অক্টোবর
প্রায় এক মাস ধরে সমস্যা সমাধানের চেষ্টার
পর বিশ্বব্যাপী নোট ৭ বিক্রি বন্ধ করে দেয় স্যামসাং।
১১ অক্টোবর
বিক্রি বন্ধের ঠিক পরদিন নোট ৭ উৎপাদন বন্ধের
ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং।
১২ অক্টোবর
নোট ৭ স্মার্টফোন ফিরিয়ে নিতে ক্রেতাদের কাছে
আগুনরোধী বাক্স পাঠিয়েছে স্যামসাং।
১৩ অক্টোবর
সংবাদ সম্মেলনে ডংজিং কোহ নতমস্তকে নোট ৭-এর
কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনার জন্য মাফ চান।
১৫ অক্টোবর
যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো বিমানে নোট ৭ নিয়ে ওঠা
আইনত দণ্ডনীয় বলে ঘোষণা করে দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশন।
২০ অক্টোবর
বাংলাদেশের যেকোনো বিমানে নোট ৭ নিয়ে ওঠা
নিষিদ্ধ ।পোস্টটি ভাল লাগলে শেয়ার করবেন