বিডি টিপ্স টেকে আপনাদের স্বাগতম।আশাকরি সবাই ভাল আছেন।আজ আপনাদের সাথে নতুন
একটি পর্ব নিয়ে পোস্ট শুরু করতে যাচ্ছি।আশাকরি আমার এই ধারাবাহিক পোস্ট গুলি ফলো করলে আপনিও ইনকাম করতে
পারবেন।আজকের এই পোস্টে
আমি শুদু ইনকামের ভিবিন্ন পদ্ধতিগুলি নিয়ে আলোচনা করবো।আশাকরি পোস্টগুলি সম্পূর্ন পড়বেন এবং কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই
কমেন্ট করে জানাবেন সাহায্য করার চেস্টা করবো।"প্র্যাক্টিস ম্যাক এ ম্যান পারফেক্ট"
তাই আমি বলবো যে বিষয়ে কাজ করুন না কেন লেগে থাকুন:"বাকিটা গডের ইচ্ছা"
|
ছাত্রদের অনলাইনে আয় পর্ব-১ |
keyword:কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো,নতুনদের অনলাইনে আয়,কিভাবে অনলাইনে আয় করবো,আনলাইনে আয়ের যত উপায়,আনলাইনে আয় শুরু করবো কিভাবে,আভিজ্ঞতা ছাড়া অনলাইনে আয় উপায়,অনলাইনে আয়ের হাজার উপায়,কিভাবে শুরু করবেন ফ্রিল্যান্সিং,বিডি টিপস টেক,বাংলা টেক টিপ্স,এন্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে আয়
ফেইবুক,ইউটিউব লাইক,কমেন্ট,শেয়ার নিন স্বল্পমুল্যে।আনলিমিটেড সাইনআপ নিন যেকোনো ওয়েবসাইটে/রেফারে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বিডি টিপ্স টেক সোশাল প্ল্যান আপনার পছন্দের সার্ভিস নিয়ে নিন স্বল্পমূল্যে
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়:প্রথমে আমি যেই কাজটিকে
সাজেস্ট করবো তা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যদিও ফ্রিল্যান্সিং করতে আপানাকে খুবই দক্ষ এবং যে কোন একটি
বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে। এই একটি বিষয় নিয়ে কাজ করে সারাজীবন ইনকাম করতে পারবেন।ফ্রিল্যান্সিং এ যারা কাজ করে তাদের বলে ওয়ার্কার এবং যে কাজ
দেয় তাকে বলে বায়ার।বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং
যে কাজ গুলিরর চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেগুলি হচ্ছে এসইও,ওয়েবসাইট ডেভেলাপমেন্ট,গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়ার্ডপ্রেস ডেভোলাপমেন্ট, প্রোগ্রামিং,মার্কেটিং এবং সবচেয়ে বেশি কাজ পাওয়া যায়
upwork.com,fiverr.com এবং http://freelancer.com এই সাইট গুলিতে।বর্তমানে upwork এ বাংলাদেশ
থেকে একাউন্ট করতে একটু ঝামেলা পোহাতে হয়।এই সাইট গুলিতে কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে বিড করতে হবে,তারপর বায়ার আপনাকে পছন্দ হলে কাজ দিবে।এছাড়া বিড ছাড়া কাজ
করার করার সাইট হচ্ছে fiverr এই ক্ষেত্রে বায়ার
অপনাকে খুজে নিবে।
ব্লগ লিখে আয়ঃ ব্লগিং হল এমন একটি বিষয়,
যেখানে আপনাকে শুধু একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগে লিখতে হবে। সাধারনত যেই ওয়েবসাইটে
ব্লগিং করা হয় সেটাকে ওয়েবসাইট না বলে ব্লগ বলা হয়। ব্লগ থেকে আয়ের বিভিন্ন উপায় আছে,
যেমনঃ এফিলেশন, বিজ্ঞাপন প্রদর্শন,
স্পন্সর পোস্ট, ইত্যাদি। এখান থেকে বিজ্ঞাপন
প্রদর্শনই সবচেয়ে জনপ্রিয়। ইন্টারনেটে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থা আছে, যারা আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিবে। সবচেয়ে ভাল বিজ্ঞাপন সংস্থা হচ্ছ গুগল এডসেন্স,যদি আপনার ব্লগটি ইংরেজিতে হয় এবং কাস্টম ডোমেইন থাকে তাহলে
আপনি গুগল এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।এছাড়াও আরো বিশ্বস্ত বিজ্ঞাপন সংস্থা আছে যেই গুলি বাংলা এবং
ইংরেজি উভয় রকমের সাইট এক্সেপ্ট করে।ফ্রিতে ব্লগ বা ওয়েবসাইট খোলার জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে blogspot.com
এবং wrodpress.com এখানে আপনারা
ফ্রিতে একটি সাবডোমেইন সহ ব্লগ পাবেন যা ইচ্ছে করলে পরবর্তীতে কাস্টম ডোমেইনে ট্রান্সফার
করতে পারবেন।আমি মনে করি
প্রতেকের নিজের বা বিজনেসের নামের একটি ব্লগ থাকা উচিত।যেহুতু ফ্রি তাই খুব সহজে একটি ব্লগ খুলে নিতে পারেন।ব্লগ নিয়ে আমার ধারাবাহিক
টিউটোরিয়াল গুলি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।এছাড়া এড ইনকাম করার টিউটোরিয়াল গুলি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
ইউটিউব থেকে আয়:সম্প্রতি সময়ে অনলাইন থেকে
টাকা উপার্জন করার মাধ্যম গুলির মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো YouTube এ ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়। আপনিও খুব সহজেই YouTube থেকে টাকা উপার্জন করতে পারেন।আপনার আপলোড করা ভিডিওতে গুগল বিজ্ঞাপন পদর্শন করবে এবং বিজ্ঞাপনে
কেউ ক্লিক করলে আপনি পেমেন্ট পাবেন।অব্যশই গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে এপ্লাই করতে হবে।
ভিডিও তৈরীর জন্য আপনি দুটি উপায় অবলম্বন
করতে পারেন। প্রথমটি হলো ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও তৈরি করে YouTube এ আপলোড এবং ২য়টি হলো কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও
Editing এর মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করে করে YouTube
এ আপলোড। তবে ভিডিও তৈরির আগে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, আপনার ভিডিওটি অবশ্যই মজাদার বা শিক্ষনীয় ও ভালো মানের হতে হবে। কারও কোন ভিডিও নকল
করে কিংবা সামান্য পরিবর্তন করে কাজটি করা যাবে না। তাহলে আপনি YouTube এর কাছে কপিরাইটের দায়ে ফেসে যেতে পারেন।
বিটকয়েনের মাধ্যমে টাকা আয়:বর্তমানে আয় করার
আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে বিটকয়েন।অনেকে এখান থেকে মোটা অংকের টাকা কামিয়ে নিচ্ছে।১ বিটিসি=প্রায় ৭৫০
ডলার এবং এর মান কিছুটা শেয়ার বাজারের মত উঠানামা করে।অনেক সাইট আছে যারা প্রতি ঘন্টায় ক্যাপচা পূরনের মাধ্যমে নিদির্স্ট
পরিমান বিটিসি ফ্রিতে দেয়,কিন্তু তা খুবই সামান্য। যদি আপনি আপনার রেফারেল
সংখ্যা বাড়াতে পারেন তাহলে এইখান থেকে প্রচুর ইনকাম করতে পারেবন।বিটকয়েন সমন্ধ্যে বিস্তারিত
জানতে আমার এ পোস্টটি দেখুন।যাদের কম্পিউটার নেই তারা চাইলে এন্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে কাজ চালিয়ে
যেতে পারেন।
ফেইসবু,টুইটার ইউটিউব থেকে আয়ঃআপনি চাইলে ফেইসবুক,টুইটার ইউটিউব থেকে লাইক,কমেন্ট,শেয়ার করে ইনকাম করতে পারেন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে চলে যান আয় করুন ফেইসবুক,গুগল,ইউটিউব এবং টুইটার থেকে খুব সহজে শুদু মাত্র লাইক,কমেন্ট শেয়ার করে প্রতিদিন ১ ডলার
প্রশ্ন
উত্তরের মাধ্যমে (Ask And You Answer): আপনি যদি বিভিন্ন
বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, যেমন ধরুন - Math,
English, Physics, Biology, Humanities ইত্যাদি। তাহলে আপনি প্রশ্ন
উত্তর প্রদানের মাধ্যমে ইন্টারনেটে অন্যের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন। আপনি যদি তাদের বিভিন্ন
প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন, তাহলে ইন্টারনেটে
অনেক সাইট আছে যেগুলি আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাদের সাইটে জয়েন করার জন্য। ফলে তাদের সাইটে জয়েন
করার মাধ্যমে ঐ কোম্পানী হতে আপনি ভাল মানের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি বেশ
চালাক এবং বুদ্ধিমান হতে হবে। আপনি বুঝতেই পারছেন আপনার চালাকি এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে এখান
থেকে টাকা উপার্জন করবেন।
ইনভেস্ট করে টাকা আয়:অনলাইনে আয়ের আরেকটি
মাধ্যম হচ্ছে ইনভেস্ট করে টাকা আয়।অনেক এই পদ্ধতিতে টাকা ইনভেস্ট করে রাতারাতি ধনী হয়েছেন,আবার এমনও আছে যারা ধনী থেকে ফকিরে পরিণিত হয়েছেন।আমি অনলাইনে ইনভেস্টমেন্টকে
সাজেস্ট করি না।কারন,দেখা যায় বেশির ভাগ সাইট কিছুদিন পর স্ক্যাম করে চলে যায়।
আরো দেখুন;
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয়:অনলাইন মার্কেটপ্লেসের
কোনো প্রোডাক্ট আপনি প্রোমোট করবেন, বিক্রি হলে
আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন পাবেন। এটাই এফিলিয়েট মার্কেটিং।কিন্তু বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুদু প্রোডাক্ট বিক্রির
মধ্যে সিমাবদ্ধ নয়।বর্তমানে এফিলিয়েট
এর মধ্যে জনপ্রিয়গুলো হচ্ছে সিপিএল, সিপিএস,
সিপিএ ইত্যাদি। সিপিএল মেথডটি হচ্ছে: আপনাকে কোনো কিছু সেল করতে হবে না। শুধুমাত্র কোনো ইবুক
ডাউনলোড করলে, বা কোনো ভিজিটর শুধুমাত্র তার ইমেইলটি সাবমিট
করলেই আপনি পেমেন্ট পাবেন।জনপ্রিয় সাইট গুলি হচ্ছে adworkmedia.com এবং clicksure.com
আর্টিকেল লিখে টাকা আয়: অনলাইনে আয় করার
আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে আর্টিকেল লিখে আয়।আপনি যদি ইংরেজি দক্ষ হন তাহলে খুব সহজে ভালো এমাউন্টের টাকা
ইনকাম করতে পারেন।অনলাইনে এমন
অসংখ্য সাইট রয়েছে যাদের সাইটে আর্টিক্যাল লেখার মাধ্যমে আয় করা যায়। সাইটভেদে আর্টিক্যালের
মূল্য ১-৩০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। সুতরাং আপনার লেখালেখির হাত যদি ভাল থাকে তাহলে আপনিও করতে পারেন
এ আর্টিক্যাল লেখার কাজটি। জনপ্রিয় একটি সাইট হচ্ছে hubpages.com
ফটোগ্রাফির মাধ্যমে টাকা আয়: আপনার তোলা
প্রাকৃতিক কোন দৃশ্য বা কোন ঘটনার ফটো বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন ।clashot.com বা shutterstock.com সাইটে আপনি ফটো বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন ।যাদের কম্পিউটার নেই
তারা এন্ড্রোয়েড মোবাইল দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।প্রায় সব ওয়েবসাইটের তাদের নিজস্ব এন্ড্রোয়েড এপ্স আছে।
ডাটাএন্ট্রি করে টাকা আয়:ডাটা এন্ট্রি কাজের
দিন দিন চাহিদা বেড়েই চলছে। ছাত্র অবস্থায় অবসরে এই কাজটি ঘরে বসে অনায়সে করা যেতে পারে।কাজটিও খুবই সিম্পল
দেখে দেখে শুদু ক্যাপচা টাইপ করবেন।সাধারনত প্রতি ১০০০ হাজার ক্যাপচাতে ০.৫-১.৫ ডলার পে করে।মিড নাইটে এই রেট সবচেয়ে
পাবেন।যদিও টাকার পরিমান
খুবই কম,তবুও ডাটা এন্ট্রি হতে পারে আপনার অনলাইনে
আয়ের প্রথম পদক্ষেপ।এই কাজটিও আপনি
চাইলে এন্ড্রয়োড মোবাইল দিয়ে চালিয়ে যেতে পারেন।একটি ডাটা এন্ট্রি সাইট রিভিউ পরুন এখান থেকে।
পিটিসি থেকে টাকা আয়:PTC এর পুর্ন মিনিং হচ্ছে "Paid To Click" অর্থাৎ বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দাতারা যাদের বিজ্ঞাপনের বাজেট কম তারা
তুলনামুলক কম মুল্যে পিটিসি সাইটে এড দেয় কিন্তু সেই এড দেখবে কে? তাই আমার আপনার মত লোকজন সেই এড গুলো দেখি এবং এই এড গুলো দেখার
বিনিময়ে পিটিসি সাইট গুলো আমাদের নির্দিস্ট অর্থ প্রদান করে। আপনাকে সাইট গুলো প্রতিদিন একটি নির্দিস্ট
পরিমান এড দিবে এবং আপনি সেই এড গুলো দেখবেন এবং প্রতি এড দেখার বিনিময়ে আপনাকে সর্বোচ্চ
১ সেন্ট হতে ১০ সেন্ট পর্যন্ত পে করে থাকে (ফ্রি মেম্বারশিপের ক্ষেত্রে)। এছাড়া আপনার রেফারেলে
কেউ যদি ওই সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে, তবে তাদের দেখা
প্রতি এডের বিনিময়ে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ ০.৫ সেন্ট করে (ফ্রি মেম্বারশিপের ক্ষেত্রে)।
মাইক্রোজব করে টাকা আয়:ইন্টারনেটে বিভিন্ন
আর্নিং পদ্ধতির মধ্যে মাইক্রো ফ্রিল্যান্সিং অন্যতম। এই সাইটগুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে কোন
প্রকার বিড করার প্রয়োজন হয়না। তাই সহজেই Available Task থেকে নিজের পছন্দ মত কাজ বেছে নেয়া যায়। আরও একটি বড় সুবিধা হলঃ এখানে প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে ছোট ছোট
কাজ পাওয়া যায়, যা Complete করতে ২-১০ মিনিটের বেশি সময় লাগে না।মাইক্রোজব করার দুইয়টি জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে www.mturk.com এবং microworkers.com
লিংক ছোট এবং ফাইল আপলোড করে টাকা আয়:দুইটি
পদ্ধতটি প্রায় একই।অনেক বড় ইউআরএল
শেয়ার করতে সমস্যা হয় এবং তখন বিভিন্ন ইউআরএল শর্টেনিং সার্ভিস ব্যবহার করে বড় ইউআরএল
কে সংক্ষিপ্ত করা হয়।মূলত আপনার
শেয়ার করা লিংকে কেউ ক্লিক করলে আপনার আয় হবে এবং এই ক্লিকের পরিমান যত বেশি হবে আয়
তত বাড়বে।আপনার লিংকে কেউ ক্লিক করলে পেমেন্ট পাবেন।প্রতি ১,০০০ ক্লিক জন্য মোটামুটি 0.5$-10$ করে আয় হবে। দেশ ভেদে এটি কম বেশি হতে পারে।লিংক ছোট করে আয় করার জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে http://adf.ly ।ফাইল আপলোড করে আয় করার জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে sharecash.org এবং করার জন্য সার্ভে কমপ্লিট করতে হয়।এখানে থেকে ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সবশেষে,আমি বলবো যেই কাজই করুন না কেন পরিশ্রম এবং ধ্যের্য সহকারে করুন।সাফল্য আমাদের ধরা
দিবে।
আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ facebook group
ফেইসবুক পেইজ facebook page
ইউটিউব চ্যানেল Youtube